১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আঞ্জুমানে হেফাজতের ‘ইসলাহী জোড়’ আগামীকাল

by arif

মুস্তাকিম আল মুনতাজ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি:

দেশের প্রাচীনতম অরাজনৈতিক সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইসলাহী জোড়–২০২৫। আগামীকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের বরুণা মাদরাসার মসজিদে আবু বকর (রা.)-এ দিনব্যাপী এ ইসলাহী জোড় অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন
banner

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এবারের ইসলাহী জোড়ে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা উলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী স্কলারগণ অংশগ্রহণ করবেন। ইতোমধ্যে জোড়কে ঘিরে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মুসল্লির উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কুতবে দাওরান মুজাদ্দিদে যামান শাইখুল ইসলাম আল্লামা লুৎফুর রহমান শায়খে বর্ণভী (রহ.)-এর নেতৃত্বে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংগঠনটি কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক খোদাভীরু সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠাতা শায়খে বরুণী (রহ.) সংগঠনটির ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যা হলো—
১. দাওয়াত, ২. সংগঠন, ৩. তালীম, ৪. তারবিয়াত ও তাযকিয়া, ৫. খেদমতে খালক (সৃষ্টির সেবা), ৬. আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার।

পঞ্চাশের দশকে ইসলামী রেনেসা ও দাওয়াতি আন্দোলনে যেসব বরেণ্য আলেম নেতৃত্ব দেন, তাদের অধিকাংশই আঞ্জুমানের লক্ষ্য ও কর্মসূচির সঙ্গে একমত ছিলেন। তৎকালীন ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখরাও সংগঠনটির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।

বর্তমানে আঞ্জুমানের কার্যক্রম দেশ ও বিদেশে সমানভাবে পরিচালিত হচ্ছে। “সোনার মানুষ গড়ে সোনার বাংলা নির্মাণ”—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সংগঠনটি পাঁচটি প্রধান কর্মধারা অনুসরণ করে আসছে—
১. পবিত্র কুরআনের দশটি সূরা মশক, ২. জরুরি মাসাইল আলোচনা, ৩. আল মুনাদী, ৪. ছয় মঞ্জিলের আলোচনা, ৫. পঞ্চাশঘরী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

এছাড়াও আত্মশুদ্ধি ও তারবিয়াতমূলক কর্মধারার অংশ হিসেবে সাপ্তাহিক ইউনিয়নভিত্তিক চিল্লা ও মাসিক শবগুজারী কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

আঞ্জুমানের সার্বিক উদ্দেশ্য হলো— আহলে তাওহিদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি, দ্বীনি জ্ঞানচর্চা ও আত্মশুদ্ধির চেতনা জাগ্রত করা, এবং খোদাভীরু সমাজ বিনির্মাণে দাওয়াতি ভূমিকা পালন করা।

আগামীকালের ইসলাহী জোড়কে কেন্দ্র করে বরুণা মাদরাসা এলাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে ইতোমধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

এমএআর/

banner

এ জাতীয় আরো সংবাদ